মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ কলাপাড়ায় বড় ভাইয়ের নামে বরাদ্দকৃত অধিগ্রহণের ক্ষতিপুরনের টাকা ছোটভাই উত্তোলন করে আত্নসাতের ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে।
অভিযোগে জানা গেছে, কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদের লোন্দা গ্রামের ১.৭৬ একর ভুমির মালিক সৈয়দ শামসুদ্দিন।
শামসুদ্দিনের মৃত্যুতে ২ স্ত্রী মোসাঃ রোকেয়া বেগম, ফজিলাতুন্নেছা, ৩ পুত্র সৈয়দ আবদুল্লাহ আল আমীন, সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুল্লাহআল মাসউদ, ২ কন্যা সৈয়দা মুন্নীজান, সৈয়দা মননুজান ওয়ারিশ থাকে। পরে সরকার বাহাদুর দক্ষিনাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়নের কাজ হাতে নিয়ে লোন্দা মৌজার জমি অধিগ্রহন করেন।
এতে সৈয়দ শামসুদ্দিনের ১.৭৬ একর ভুমি অধিগ্রহনের আওতায় নিয়ে ক্ষতিপুরন হিসেবে ১৪ লাখ ৬১ হাজার ১ শত ৪৭ টাকা ৩৭ পয়সা বরাদ্দ করেন। যাহা অধিগ্রহণ ১৯৮২ সালের ২ নং অধ্যাদেশ অনিযায়ী ভুমি অধিগ্রহণ কেস নং১৩/১৬-১৭। মিস কেস নং ২৬২৪/২০১৯-২০ রোয়েদাদ তালিকা নম্বর ৯৫৭ মুলে টাকা উত্তোলনের নোটিশ প্রাপ্ত হয়।
পরে ক্ষতিপুরনের বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করার জন্য মৃত সৈয়দ শামসুদ্দিনের প্রথমা স্ত্রী মোসাঃ রোকেয়া বেগম, তার গর্ভজাত সন্তান সৈয়দআবদুল্লাহ আল আমীন ও মুন্নীজান টাকা উত্তোলনের জন্য ফরম পূরণ করে তাদের সৎ ছোটভাই সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মাসউদ অনুমতি প্রদান করেন।
ঐ অনুমতিতে সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মাসউদ পটুয়াখালী এল,এ,অফিস থেকে গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ বরাদ্দকৃত ১৪ লাখ ৬১ হাজার ১ শত ৪৭ টাকা ৩৭ পয়সা উত্তোলন করেছেন। ঐ টাকা উত্তোলনের তিনদিন আগে রোকেয়া বেগম মারা যান।
ক্ষতিপুরনের টাকা উত্তোলনের পর বড়ভাই সৈয়দআবদুল্লাহআলআমীন বোন মুন্নীজান মৃত রোকেয়া বেগমের ওয়ারিশ প্রাপ্ত অংশের টাকা ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮০ টাকা তাদেরকে না দিয়ে আজ- কাল বলে প্রতারনার মাধ্যমে আত্নসাত করেছেন।
ক্ষতিপুরনের বরাদ্দকৃত টাকা না পেয়ে সৈয়দ আবদুল্লাহ আল আমীন তার বোন সৈয়দাা মুন্নীজান গত ৩০ জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ইন্সপেক্টর জেনারেল পুলিশ হেড কোয়াটার ঢাকা, জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালী, ভুমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, পটুয়াখালী,জেলা পুলিশ সুপার পটুয়াখালী, জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন পটুয়াখালী, ইন্সপেক্টর ডি, আই,ও স্পেশাল ব্রান্জ্ঞ পটুয়াখালী, পরিচালক আর,পি,সি,এল, সবুজবাগ পটুয়াখালী, বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রতিকারের দাবীতে কলাপাড়া ডাক বিভাগের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন ডাক রশিদ ৬৮৭, ৬৮৮, ৬৮৯, ৬৯১, ৬৯২, ৬৯৩, ৬৯৪, ৬৯৫, ৬৯৬, ৬৯৭,নম্বরে অভিযোগ প্রেরন করেছেন।
এছাড়া সৈয়দ আবদুল্লাহ আল আমীন গত ২ আগস্ট ২০২০ তারিখে কলাপাড়া থানায় সাধারন ডায়রী ৫৬ /২০২০ করেছেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মাসউদ এর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ক্ষতিপুরনের টাকা উত্তোলন করে ওয়ারিশদের মাঝে বন্টন করে দিয়েছি। তবে লিখিত রশিদ গ্রহন করিনি।
Leave a Reply